সমস্ত লেখাগুলি

আত্ম-জাগরণ -
Puspabanta Bangla
April 23, 2025 | category | views:11 | likes:0 | share: 0 | comments:0
লোকে বলতে পারে এটা পড়িস না, কারণ এটা ভালো না; ওটা পড়িস না, কারণ ওটা নিষিদ্ধ। কিন্তু বিবেচনা করুন, এটা ওটা না পড়লে কিভাবে বুঝবেন যে এটা কেন খারাপ বা ওটা কেন নিষিদ্ধ। যিনি আপনাকে পড়তে নিষেধ করছে, তিনিও হয়ত জানেন না। আর আপনি শুনেই যদি ক্ষান্ত দেন; তবে আপনার আর জানা হল না; কি ছিল এর ভিতরে। জানতে হলে পড়তে হবে।
গোঁড়াপন্থীগণ কিংবা চতুর স্বার্থবাদীগণ ব্যক্তি কিংবা গোষ্ঠীস্বার্থ চরিতার্থ করার মানসে অনেকের জন্য অনেক কিছুই অপাঠ্য কিংবা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন; কারণ ওসব পড়লে সত্য বেরিয়ে পড়তে পারে, যাতে তাদের বিপদ হতে পারে।
প্রাচীনকালে বিভিন্নপ্রকার বাঁধা থাকলেও বর্তমানে পড়াতে বিশেষ কোন বাধা নাই, তাই গণ্ডিবদ্ধ চিন্তাধারার উর্ধে উঠে বিভিন্ন ধরণের বই পড়া উচিত। যত পড়বেন তত মুক্ত হবেন।
মানুষ হবার শিক্ষা কতদিনে পাবো? -
Puspabanta Bangla
April 22, 2025 | সমাজ | views:15 | likes:0 | share: 0 | comments:0
আমরা শিক্ষিত হই। কেমন শিক্ষিত হই? জানেন?
কম্পিউটারের হার্ডডিস্কের মতো মেমোরিতে কতকগুলো তথ্য-সূত্র ঢুকিয়ে রাখি আর প্রয়োজন অনুসারে যন্ত্রযোগে ব্যবহার করি।‍‍‍
প্রথাগত এই শিক্ষায় আমাদের হাতে আসে সনদ (শিক্ষার সার্টিফিকেট)। সেই সার্টিফিকেটের বদৌলতে আর হার্ডডিস্কে জমা থাকা তথ্য ব্যবহার করে আমরা চাকরি চাই, টাকা রোজগার করি। কিন্তু---
কিন্তু এই শিক্ষায় আমাদের আত্মিক বা নৈতিক জাগরণ ঘটে না, আইন-নিয়মের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগে না, কাজের প্রতি নিষ্ঠা জাগে না, করতে হয় তাই করি, ইত্যাদি ইত্যাদি। মানুষের, পরিবারের, সমাজের, দেশের প্রতি মানুষের দায়িত্ব, কর্তব্যবোধ জাগে না।
মানুষের মনন উচ্চতর স্তরের না হলে শিক্ষায় যতই বড় বড় সার্টিফিকেটধারী হোক না কেন, মানুষ হিসেবে সেই নিম্নমানের রয়ে যাবে। তাই ত চারিদিকে দেখতে পাই- যত বড় বড় ঘুষ, দুর্নীতি, চুরি, শঠতা, পরশ্রীকাতরতা, অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন, ----- আরও কত অপরাধমূলক কাজ অধিকাংশই শিক্ষিত মানুষের দ্বারাই সংগঠিত হয়।
শিক্ষিত হবার পাশাপাশি মানুষও হতে হবে। মানুষ হবার শিক্ষা কতদিনে পাবো?
শিক্ষার উদ্দেশ্য কী? -
Puspabanta Bangla
April 21, 2025 | শিক্ষা | views:14 | likes:18 | share: 2 | comments:0
শিক্ষার উদ্দেশ্য কী?
- রুটি-রুজির বন্দোবস্ত করা। সোজা কথায় সহজ উপায়ে জীবিকা নির্বাহ করার ব্যবস্থা করা। যেমন চাকরি।
কিন্তু এই কী শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য?
- না! কোনো মতেই না। শিক্ষার আসল উদ্দেশ্য হলো মনের সংকীর্ণতা দূরীভূত করা। মন ও মননের উন্নয়ন। ক্ষুদ্র ও মানসিক দৈনতার অবসান ঘটিয়ে মনকে সংস্কারাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়া। অনুভব শক্তি বৃদ্ধি করা। অনুভূতি ও সমানুভূতির চর্চা করা। কর্তব্য-দায়িত্ব-অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি। যেকোনো ঘটনার কার্য-কারণ অনুসন্ধানে মনস্তাত্ত্বিক সংশয়ের উর্ধে উঠে যুক্তিবোধের সাহায্যে বিচার-বিশ্লেষণ করতে শেখা। মানুষের মূল্যবোধ তৈরি। কাজকে (কায়িক ও বুদ্ধিভিত্তিক উভয়) গুরুত্ব দিতে শেখা। গুণ ও কর্ম অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে যোগ্যতা নিরুপণ ও মর্যাদা প্রদান করতে শেখা। সর্বোপরি শিক্ষার মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য হলো নিজেকে আবিষ্কার করা, নিজেকে চেনা, মানুষকে চেনা, সমাজ-দেশ-বিশ্বকে চেনা, মানুষ হয়ে ওঠা।

আমাদের কথা


এই দুর্নিবার সময়েও লেখনী চালিয়ে যাওয়ার মত ধীশক্তি ধরে রেখে মুক্তচিন্তকরা নিরন্তর লিখে চলেছেন। তাঁদের লেখাগুলি সংকলিত করে প্রকাশিত হয়ে চলেছে চেতনার অন্বেষণে পত্রিকা। যা দুই বাংলার পাঠকদের কাছে দ্রুত সমাদৃত হয়। এই পথ চলার একটি ধাপে এসে অন্বেষণ পাবলিশার্স পথ চলা শুরু করেছে মূলত মুক্তচিন্তা ও বিজ্ঞানমনস্ক বইগুলিকে পাঠকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে। আমাদের কথা বলতে লেখক, পাঠক সবাই মিলিয়েই আমরা।

ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে


এটি মূলত বিজ্ঞানমনস্কতা, যুক্তিবাদ চর্চা এবং বইপত্রের প্ল্যাটফর্ম। এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যুক্তিবাদীদের লেখার চর্চাকে অনুপ্ররণা যোগাবে। লগইন করে আপনিও লিখতে পারবেন, ওয়েবসাইটটি সমস্ত বিজ্ঞানমনস্ক, যুক্তিবাদীদের উদ্দেশ্যে নির্মিত।

যোগাযোগ


Email: yuktibadira@gmail.com

WhatsApp: +91-9433794-113


Website visit count:
86930